তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপের পথে কর্ণাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকার। এবার হিজাব নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলে মিলল ইঙ্গিত। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এই ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক। তিনি বলেন, হিজাব, হালাল ও গোহত্যা আইনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। চলতি মাসে হওয়া কর্ণাটক নির্বাচনে হিজাব নিষেধাজ্ঞাকে হাতিয়ার করেছিল হাত শিবির। ১০ই মে নির্বাচনী প্রচারে প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার বলেন, ক্ষমতায় এলে BJP-র আমলে হওয়া সমস্ত মুসলিম বিরোধী আইন প্রত্যাহার করবে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, কংগ্রেসের এই প্রচার ভোটে প্রভাব ফেলেছিল। এর জেরেই সংখ্যালঘু ভোট পুরোপুরি চলে যায় কংগ্রেসের দখলে। বুধবার এই ইস্যুতে বিধানসভায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার। তিনি বলেন, “হিজাব ইস্যুতে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এটা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত।” গত বছর হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল কর্ণাটক। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে তৎকালীন বিজেপি সরকার। যা ঘিরে তুঙ্গে পৌঁছেছিল প্রতিবাদ।
উল্লেখ্য, উদুপি প্রি ইউনিভার্সিটি গার্লস কলেজের ছাত্রীরা হিজাব ছাড়া ক্লাসে যেতে অস্বীকার করে। শুরু হয় বিতর্ক। যার জেরে কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনাও ঘটেছিল। শুধু তাই নয়, ওই সময় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার তরফে আত্মঘাতী হামলার হুমকিও দেওয়া হয়। ফলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাহিনী মোতায়েন করেছিল তৎকালীন বিজেপি সরকার। অন্যদিকে হিজাব ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। তবে কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই ইস্যুতে ধীরে চলো নীতি নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। “তড়িঘড়ি হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে, ধর্মীয় তাস খেলতে পারে বিজেপি। সেক্ষেত্র জনসমর্থন ফের পদ্ম শিবিরের দিকে ঘুরে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়ছে আগামী বছরের লোকসভা ভোটে।” সংবাদ মাধ্যমকে বলেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস কর্মী। এবারের নির্বাচনী ইস্তেহারে বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হবে বলে উল্লেখ করেছিল কংগ্রেস। সেই মতোই দ্রুত পদক্ষেপ নেবে তারা। ইতিমধ্যেই বজরং দলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।