দেশ জুড়ে চলছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি অভিযান। যার ফলস্বরূপ চাপের মুখে শুরু হয়েছে দলত্যাগের পালাও। পিটিআই-এর একের পর এক নেতা দল ছাড়তে শুরু করেছেন। কেন পরপর এই নেতারা ইস্তফা দিচ্ছেন, এবার তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন ইমরান খান। বুধবার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানান, পিটিআই নেতারা বাধ্য হচ্ছেন দল থেকে ইস্তফা দিতে। তাদের ওপরে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আটকও করা হচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীদের।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান। আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় তাঁকে ইসলামাবাদ আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার করে ন্যাব। এরপরই দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামাবাদ, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, পঞ্জাব, মুলতান সহ একাধিক জায়গায় দফায় দফায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। প্রায় কয়েক হাজার পিটিআই সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারির পালার পরই শুরু হয় ইস্তফার হিড়িকও শুরু হয়। পিটিআই-র মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী, যিনি ইমরান খানের সরকারে তথ্য মন্ত্রী ছিলেন, তিনি দল থেকে ইস্তফা দেন। দলের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিরিন মাজ়ারিও মঙ্গলবার দল থেকে ইস্তফা দেন।
অন্যদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উমর, যিনি প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দেবেন, তবে পিটিআই কর্মী হিসাবে থাকবেন। বুধবার রাতে এই একের পর এক ইস্তফা নিয়ে মুখ খোলেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে এর আগে কখনও এমন গ্রেফতারি অভিযান দেখেনি কেউ। আপনারা যদি বলেন যে পিটিআই-র কর্মী বা সমর্থক, তাহলেই আপনি হিংসার শিকার হবেন, গ্রেফতার হবেন। কিন্তু যদি আপনি ওই ম্যাজিক শব্দটা বলেন যে আর পিটিআই-এর সদস্য নন, তাহলেই আপনাকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’ ইমরান আরও বলেন, ‘শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে দলের নীচু স্তরের কর্মীদেরও আক্রমণ করা হচ্ছে। সবাইকে জেলে ভরা হচ্ছে। আমি জানি না কাকে যোগাযোগ করব।’