আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে পরেই বিস্ফোরক দাবি করলেন মমতা। বললেন, মেয়াদ শেষের আগেই পতন হতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। সব বিরোধীরা একত্রিত হলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পতন নিশ্চিত, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন মমতা। একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, চমকপ্রদ কিছু হলে ২০২৪ লোকসভার আগেও পড়ে যেতে পারে কেন্দ্রের সরকার। “আর তো ৬ মাসের ব্যাপার। আর যদি কোনও মিরক্যাল হয়ে যায়, সরকার আগেও পড়তে পারে। কে বলতে পারে, আমি আজ বেঁচে আছি, কাল নাও থাকতে পারি। নির্বাচন হলেও ৬ মাস বাকি। তার চেয়ে বেশি নয়”, বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।
পাশাপাশি, এদিন বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্বকেও এদিন কার্যত খণ্ডন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলছেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকার এখন ট্রাবল ইঞ্জিন, টেরিবল ইঞ্জিন হয়ে গিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একত্রিত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ব। আমাদের কিছু চাই না। একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই। যা পারেন করে নিন।” মমতার দাবি, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কেরল, পাঞ্জাব, বিহার ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, সব জায়গায় বিরোধীরা একত্রিত হচ্ছে। আরও দলকে একত্রিত হতে হবে। মমতা যে যে রাজ্যের কথা বলছেন, সেগুলির মধ্যে একাধিক রাজ্যে এখনও বিজেপি বিরোধী ভোট একত্রিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি। কিন্তু মমতা আশাবাদী, নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে বিজেপিকে হারাতে সবাই একত্রিত হবেই। এদিন নবান্নে একসঙ্গে তিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক সেই বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়াকে খানিকটা হলেও তরান্বিত করল। ওদিকে নীতীশ কুমার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে দেখা করছেন, আবার শরদ পওয়ারও বিরোধী ঐক্যের কথা বলছেন। এসবের মধ্যে মমতা-কেজরিওয়াল এদিন নবান্নে বসে কার্যত একযোগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুললেন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণবাহী বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।