প্রসব বেদনা উঠেছিল স্ত্রীর। তাঁকে নিয়ে গ্রামের কমিউনিটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন স্বামী। অভিযোগ, মহিলাকে ভর্তি নেওয়ার সময় ১০০০ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তা দিতে না পারায় হাসপাতালে ভর্তিই নেওয়া হয়নি তাঁকে। বাধ্য হয়ে রাস্তাতেই প্রসব করতে বাধ্য হন মহিলা। স্থানীয়দের সাহায্যে কোনও মতে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার। ২৫ বছর বয়সি ওই মহিলার নাম সুমন দেবী। তাঁর স্বামী একজন দিনমজুর। গত শুক্রবার প্রসব যন্ত্রণাযা কাতর সুমন দেবীকে নিয়ে তাঁর স্বামী ইগলাস এলাকার একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন। সুমনের স্বামীর অভিযোগ, সেখানকার কর্মীরা সুমনদেবীকে ভর্তি নেওয়ার জন্য তাঁদের থেকে ১০০০ টাকা ঘুষ চান। স্বভাবতই তা দিতে পারেননি তিনি। এরপর হাজার অনুনয় বিনয় সত্ত্বেও কিছুতেই হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি মহিলাকে।
শেষমেশ স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন, শাড়ি পেতে রাস্তাতেই মহিলার প্রসবের ব্যবস্থা করেন তাঁরা।
সেখানেই পুত্রসন্তান প্রসব করেন মহিলা। এরপর তাঁর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়াতে বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি,মহিলাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। সেখান থেকে পরে তাঁকে আলিগড়ের অন্য একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মহিলার রাস্তায় প্রসবের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। এই প্রসঙ্গে ঈগলাস কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রোহিত ভাটি জানিয়েছেন, ‘ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তকারীদের একটি দল নার্সদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। হেড অফিস থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা ইতিমধ্যেই ঘুরে গেছেন ওই কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। মহিলাকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তিনি ও তাঁর সন্তান দুজনেই এখন ভাল আছেন।’