কলকাতায় আসছেন দিল্লির প্রধানমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ, মঙ্গলবার দুপুর তিনটেয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তাঁর। এমনিতেই কেজরিওয়ালের এই কলকাতা আসা এবং মমতার সঙ্গে দেখা করা নিয়ে জল্পনা ঘনিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। তবে তার আগে কেজরিওয়াল নিজে টুইট করে যা জানালেন, তাতে সে জল্পনা চারিয়ে গেল গোটা দেশের রাজনীতিতেই। মনে করা হচ্ছে, বিজেপি-বিরোধী শক্তিকে আরও সুসংগঠিত ও দৃঢ় করতেই এই বৈঠক কেজরিওয়ালের। এবং এটা সবে শুরু।
তিনি লেখেন, ‘আজ আমি সারা দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করছি। দিল্লির মানুষের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য আমার এই যাত্রা। সুপ্রিম কোর্ট বহু বছর পরে দিল্লির মানুষকে বিচার পাইয়েছে, অধিকার বুঝিয়েছে, যা কেন্দ্রায় সরকার ছিনিয়ে নিয়েছে।’ সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, ‘তবে এটা কেবল দিল্লির লড়াই নয়। এটা ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই, বাবাসাহেবের সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াই। ন্যায়ের পক্ষে লড়াই। দেশ বাঁচানোর লড়াই। আমি সকলের সমর্থন পাওয়ার অপেক্ষা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন কংগ্রেসী এবং অ-বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করছেন এবং দৌত্য চালাচ্ছেন। এর আগে কুমারস্বামী এসেছিলেন, এসেছিলেন অখিলেশ যাদব। নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদব এসেও দেখা করে গিয়েছেন নবান্নে। এবার আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সবক’টি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক সমান নয়। যেমন, কর্নাটকের ভোটে কংগ্রেস বিজেপিকে নাস্তানাবুদ করে হারিয়ে জিতেছে। সেই কংগ্রেসের জয়ের পরে নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদব আমন্ত্রিত থাকলেও, কেজরিওয়াল, কেসি রাও, পিনারাই বিজয়ন প্রমুখ নিমন্ত্রণ পাননি সেখানে।