মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। গেরুয়া শিবির ছেড়ে একের পর এক নেতা কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। বলা যেতে পারে, কর্ণাটকের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে মধ্যপ্রদেশে। দক্ষিণের রাজ্যটিতেও সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে দলে বিজেপি নেতা শিবির ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাও ছিলেন। সেটি ছিল রাজ্য বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। কর্ণাটকেও ভোটের মুখে গেরুয়া শিবিরে তেমনই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
রবিবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন নরওয়ালির তিনবারের বিজেপি বিধায়ক প্রদীপ লারিয়ার ভাই হেমন্ত লারিয়া। প্রদেশ কংগ্রেসের দফতরে তাঁকে দলে যোগদান করান কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি কমল নাথ। তাঁর হাতে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ তুলে দেওয়া হয়। হেমন্তর সঙ্গেই তাঁর কয়েকশো অনুগামী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিজেপিকে তুলধোনা করে হেমন্ত বলেন, ‘বিজেপি শাসনে মিথ্যাচারিতা ও লুঠের সরকার চলছে মধ্যপ্রদেশে। গোটা রাজ্যের মানুষ চালের দাম, বেকারত্ব, দুর্নীতিতে বিরক্ত। সরকার চলছে অর্থ ও পেশীশক্তিতে। ক্ষমতাসীন দল রাজনৈতিক স্বার্থে পুলিস ও প্রশাসনের অপব্যবহার করছে। হনুমানজির আশীর্বাদে এই দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি সরকারকে ছুড়ে ফেলে দেবেন কমল নাথ’।
সূত্রের খবর, রাজ্যের পুর নির্বাচনে লারিওয়ালি জেলার মাক্রোনিয়া থেকে টিকিট চেয়েছিলেন হেমন্ত লারিয়া। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরই রাজ্য বিজেপি নেতাদের উপর ক্ষুব্ধ হন তিনি। তবে শুধু লারিয়ার পরিবারই নয়, দল বেঁধে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগদান চলেছে। নির্বাচনের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিজেপিকে উদ্বেগে ফেলেছে। দলের জন্য প্রাথমিক উদ্বেগ হল মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি ভি ডি শর্মার মধ্যে টানাপোড়েন সম্পর্ক। সূত্রের খবর, ভোপালে বিজেপির বৈঠকে শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য মীমাংসা না করলে এবং একক ইউনিট হিসাবে একসঙ্গে কাজ না করলে দল গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হবে। এই প্রসঙ্গে তাঁরা কর্ণাটকে দলের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের উদাহরণ তুলে ধরেছেন।