ফের নবজোয়ারে ফিরেই একের পর এক বিস্ফোরক আক্রমণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ায় তৃণমূলের সভায় বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এদিন দেখা করেন তিনি। সহমর্মিতা জানিয়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। এরপরেই এদিনের সভা থেকে তোপের তির চালান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলীয় নেতাদের সতর্ক করে বার্তা দেন অভিষেক। এদিন তিনি বলেন, ‘বাঁকুড়ার এই গরমে মানুষ বেরিয়ে আসছেন। যে কুমীরকে খাল কেটে এনেছিলাম, সেই খাল দিয়ে তাঁকে বিদায় দেবেন বলেই বেরিয়ে আসছেন। আমায় দেখতে নয়। এই জেলার সংগঠন আমাদের তুলনামূলক ভাবে দুর্বল। পাশের পূর্ব বর্ধমানে ১৬তে ১৬ হচ্ছে৷ আর বাঁকুড়ায় ১২তে চার হচ্ছে। এটার কারণ আমাদের ব্যর্থতা। ১২০০ থেকে এগারো হাজার ভোটে আমরা হেরেছি। কে কত বড় নেতা। বুথের ফল দেখেই বুঝে যাব’৷
স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে অভিষেক আরও বলেন, ‘২৬ দিন ধরে হাজার হাজার লোকের সঙ্গে কথা বলেছি৷ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি৷ তাতে আমি বুঝতে পেরেছি, মানুষ জানে না, কে টাকা দেয়৷ আমাদের বোঝাতে হবে, কেন্দ্র ৬০% টাকা দেয়। রাজ্য ৪০% টাকা দেয়। কার ভোট কোথায় যাবে তা আমাদের মাথা ব্যথা নয়। মানুষ ভোট দিচ্ছে এটা মাথায় রাখুন’।
বাম-বিজেপি জোট নিয়ে কটাক্ষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম নিজেই জিততে পারে না, সে আবার ভোট ট্রান্সফার কী করবে? তবে ২০১৯ সালে বামেদের অনেকেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল’। বিরোধীদের কটাক্ষ করে অভিষেক আরও বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার দিলে বাংলায়, বাম-কংগ্রেস বলত ভিক্ষা দিচ্ছে। আর এখন কর্ণাটকে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কিম অনুসরণ করছেন৷ বাংলায় ভিক্ষা হলে, কি ওখানে ভগবানের প্রসাদ? ক্ষমতায় তো অনেক দিন ছিলেন ৩৭ হাজার কোটি টাকার ভিক্ষা দিন। যাঁদের দেড় লক্ষ ভোটে জিতিয়েছেন, তাঁদের ৩ লক্ষ ভোটে হারান। আর যাঁদের ৭০ হাজার ভোটে জিতিয়েছেন তাঁদের দু লক্ষ ভোটে হারান’।