আগামী ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই বিরোধীরা জোটের সলতে পাকাতে শুরু করে দিয়েছে। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় এলেন আম আদমি পার্টি প্রধান তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সঙ্গে এসেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান, আপ নেতা রাঘব চাড্ডা এবং অতিশী। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন তাঁরা। তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। কেন্দ্রের বিজেপি-বিরোধী ঐক্যে শান দিতেই কলকাতায় আগমন আপের শীর্ষনেতৃত্বের, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। মঙ্গলবার নবান্নে গিয়ে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আপ প্রধান-সহ নেতারা। তার পরেই ফিরে যাবেন দিল্লী। বিরোধী জোট নিয়ে কথা হতে পারে নবান্নের বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে কেজরীওয়ালের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সঙ্গে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, জেডি (ইউ) নেতা মনোজ ঝা, লালন সিংহ এবং সঞ্জয় ঝা। কেন্দ্রের দিল্লী সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারির বিরোধিতা করে কেজরির পাশে দাঁড়ান নীতীশ। শনিবার এই বিষয়ে সব বিরোধী দলকে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন আপ প্রধান। দিন কয়েক আগে নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী। মমতার প্রস্তাব মেনে বিহারের রাজধানী পটনায় বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নীতীশও। এর পরেই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। তাতে বিজেপির হারের পর বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ আরও গতি পায়। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও সেখানে ডাক পায়নি আপ। কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, দিল্লী কংগ্রেসের আপত্তিতেই আপকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি। যদিও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের থাকা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি প্রকাশ করেছিল তৃণমূল এবং আপ। অন্য দিকে, বারবার প্রকাশ্যে এসেছে মমতা আর কেজরিওয়ালের সুসম্পর্ক। এ বার সেই বোঝাপড়ার তত্ত্বকে স্বীকৃতি দিয়েই নবান্নে বৈঠকে এলেন কেজরিওয়াল, মান-সহ আপের শীর্ষ-নেতৃত্ব।