২০১৬ সালে নোটবন্দীর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেবার তিনি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করে দিয়েছিলেন। এবার অবশ্য আরবিআই রাতারাতি নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেনি। তাঁরা জানিয়েছে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে বাতিল হয়ে যাবে ২০০০ টাকার নোট। সেই দিনের আগে অবশি বাজারে তা বৈধ থাকবে।
তবে এদিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা নেওয়ার পালা। আর সেই সংক্রান্ত ক্ষেত্রেই এসবিআই জানিয়েছে, এই নোট জমা দেওয়ার জন্য কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না, এমনকি কোনও স্লিপ জমা দিতেও হবে না। এই পদক্ষেপকেই তীব্র কাটাক্ষ হানলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি টুইট করে এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ হেনে বলেছেন, ‘এ তো রেড কার্পেট বিছিয়ে দুর্নীতিকে অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে।’
চিদম্বরম লিখেছেন, ‘২০০০ টাকার নোট ছিল ২০১৬ সালের একটা বড় বোকামি। আমি আজ বেশ খুশি হয়েছি যে সেই বোকামিটা ৭ বছর বাদে ফেরত নেওয়া হল। আমি খুব একটা অবাক হয়ে যাব না যদি আরবিআই নতুন করে আবার দেশে ১০০০ টাকার নোট চালু করে। যদি করে তাহলে নোটবন্দীর একটা বৃত্ত পূর্ণ হবে’।
বিজেপি থেকে বলা হয়েছিল নোটবন্দী নাকি কালো টাকা উদ্ধারের বড় পদক্ষেপ। কিন্তু আমজনতার সঙ্গে ২০০০ টাকার নোটের কোনও যোগই নেই। কেননা রোজ রোজ এই টাকা কেউ ভাঙান না। তার প্রয়োজনও পড়ে না। তাহলে কারা এই নোট ব্যবহার করান আর জমান? ২০০০ টাকার নোট কেবলমাত্র কালো টাকার কারবারিদের টাকা লুকিয়ে রাখতেই সাহায্য করেছে। এখন এদেরকেই রেড কার্পেট বিছিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে। কেননা এসবিআই জানিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট বদলের ক্ষেত্রে কোনও পরিচয়পত্র লাগবে না। কোনও স্লিপ পূরণ করতে হবে না। যে কোনও দিন, যে কোনও সময়ে ২০০০ টাকার নোটে যে কেউ যেখান থেকে খুশি নোট বদলে ফেলতে পারবেন। এটাই তাহলে কালো টাকা উদ্ধারের আসল গপ্পো।’