বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন সর্বজনবিদিত। এরই মধ্যে অন্তর্কলহের আগুন ত্রিপুরার পদ্মবনেও। রবিবারই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কার্যত বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এমনই তার তেজ, যে সাংবাদিক বৈঠকের পরেই দিল্লি থেকে জরুরি তলব করা হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ইদানীং বিপ্লব বিশেষ ত্রিপুরায় থাকেন না। দিল্লিতেই বেশি থাকেন। অন্য রাজ্যে বক্তৃতা করতে যান। তবে রবিবার সকালেই আগরতলা পৌঁছেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রদেশ বিজেপি নিয়ে ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দেন তিনি। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, ‘রাজ্য পার্টিতে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ বাড়ছে। যা বিজেপিকেই ভিতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে।’ সন্দেহ নেই, বিপ্লবের মতো প্রথম সারির ত্রিপুরা বিজেপির নেতার মুখে এ হেন অভিযোগ বিস্ফোরণের সমান। ওই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই বিপ্লবের কাছে দিল্লি থেকে ফোন আসে। বিকেলের বিমানেই আগরতলা থেকে ফের দিল্লি চলে যান তিনি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিপ্লব কাকে বহিরাগত বললেন? মনে করা হচ্ছে, বিজেপির এখন যিনি পর্যবেক্ষক সেই মহেশ শর্মাকেই ইঙ্গিত করেছেন বিপ্লব। জারণ মহেশ উত্তরপ্রদেশের নেতা। যদিও বিপ্লব ঘনিষ্ঠ এক তরুণ নেতা বলেন, ‘মহেশজির সঙ্গে দাদার সম্পর্ক খুব ভাল। ওঁকে কিছু বলেননি।’ তাহলে কাকে বললেন? নাম জানাতে অনিচ্ছুক ত্রিপুরা বিজেপির আইটি সেলের ওই নেতার কথায়, ‘আমি নাম বলব না। তবে এটুকু বলতে পারি, একজন নেতা গোটা উত্তর-পূর্বের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন। তিনি অযথা নাক গলাচ্ছেন রাজ্য সংগঠনে।’ অনেকের ধারণা, বিপ্লব আসলে নিশানা করেছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে।