কর্ণাটকে শোচনীয় পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সারা দক্ষিণ ভারত থেকে মুছে গিয়েছে বিজেপির কর্তৃত্ব। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্ণাটকে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। এবার গেরুয়া শিবিরের কায়দাতেই গোমূত্র দিয়ে কর্ণাটক বিধানসভা শুদ্ধ করলেন কংগ্রেস কর্মীরা। আয়োজন হয়েছিল পুজোপাঠেরও। গোমূত্রের পাশাপাশি শুদ্ধিকরণে গোটা বিধাসভা চত্বরে গঙ্গাজলও ছেটানো হয়। ফের একবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেছেন সিদ্দারামাইয়া। প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। গত জানুয়ারি মাসেই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি, গোমূত্রে বিধানসভা শুদ্ধিকরণের সময় হয়েছে। আর এবার সে পথেই হাঁটলেন কর্মীরা। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল দুর্নীতি। কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছিল ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে গেরুয়া নেতা-মন্ত্রীরা। এমনকী কোটি টাকার বিনিময়ে বিজেপির অন্দরে মন্ত্রীত্বের চেয়ার বেচাকেনা হয় বলেও অভিযোগ করেছিল রাহুল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার বলেছিলেন, “বিজেপির দুর্নীতিতে কালিমালিপ্ত হয়েছে হয়েছে বিধানসভা। ক্ষমতায় আসার পর শুদ্ধিকরণের জন্য উপকরণ নিয়ে আসব। আমার কাছে গোমূত্র আছে।” আজ বাস্তবেই বিধানসভার শুদ্ধিকরণ করল হাত শিবির। হল পূজাপাঠ। গঙ্গাজল ছেটানো হল গোটা বিধানসভা চত্বরে। বিধানসভা নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্থ বিজেপি সরকারকে হারিয়ে ক্ষমতা দখলের পর নতুন কর্ণাটক গড়ার লক্ষ্যে শুভ সূচনার জন্যই পুজোপাঠ ও গোমূত্র-গঙ্গাজল ছেটানো হয়েছে বলেই দাবি করেছেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। উল্লেখ্য, ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ১৩৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। ৬৬-তেই থেমে গেছে বিজেপি রথ। গত শনিবারই সিদ্দারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।