মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছিলেন রাজ্যের প্রত্যেক মানুষ যুক্ত হন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সঙ্গে। সেই কারণেই তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে। সেই মতন এবার রাজ্যের ৩ হাজার প্রান্তিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে ব্যাঙ্ক’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে পঞ্চায়েত দফতর।
এর ফলে রাজ্যের প্রান্তিক এলাকার মানুষজনের বাড়ির কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে যাবে। একই সঙ্গে এই পরিষেবা প্রদানের জন্য নিযুক্ত করা হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। তাঁরা বিজনেস করেসপন্ডেন্ট সখী হিসেবে কাজ করবেন। ইতিমধ্যে তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী মাস থেকেই যাতে এই পরিষেবা চালু করে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চলছে এখন, অন্তত নবান্ন সূত্রে তেমনই জানা গিয়েছে।
এঁরা কী কাজ করবেন? জানা গিয়েছে, এঁরা কোনও একটি ব্যাঙ্কের এজেন্ট হবেন। তাঁরা গ্রামে কাউন্টার খুলে গ্রাহকদের টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ করতে সাহায্য করবেন। এদের বেতন হবে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে, ডিজি পে সখী-রা একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে আর্থিক লেনদেনের কাজ করবেন। এই কাজের মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য হতেই হবে। কাজের বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন ওই মহিলারা।
প্রতিদিন কত গ্রাহক টাকা তুলছেন বা জমা করছেন, তার তথ্য পোর্টালে উঠে যাবে। ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে দফতরও সেটা নজরে রাখতে পারবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল লাইভলিহুড মিশন-এর তরফে এই কাজের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হচ্ছে। কম্পিউটার চালানো এবং স্মার্ট ফোনে অভ্যস্ত মহিলাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একজন মহিলা একাধিক গ্রামে পরিষেবা দিতে পারবেন। যেসব এলাকায় ব্যাঙ্ক অনেক দূরে কিংবা নেই, সেখানকার মানুষজন এর ফলে অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।