বাতিলের পথে ২০০০ টাকার নোট। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণার পরই মোদী সরকারকে একহাত নিল বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই দেশে আবার ফিরল নোটবন্দীর সেই ভয়ংকর আতঙ্কের দিন! এভাবেই তোপ দেগেছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি।
কংগ্রেস নেতা পবন খেরা টুইটারে লেখেন, ‘২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের সেই ভয়ংকর দিন আবার ফিরল। নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত যে নেহাতই একটা বিপর্যয় ছিল, তা আরও একবার প্রমাণিত। বাজারে ২০০০ টাকার নোট এলে, কীভাবে দেশবাসী লাভবান হবেন, সেই কথা বলেছিলেন মোদী। এখন যখন তা উঠে যাচ্ছে, তখন তাঁর প্রতিশ্রুতির কী হবে’? এই নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সঠিক কারণ কেন্দ্রকে ব্যাখ্যা করতে হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। মানুষকে সমস্যায় ফেলতে এবং মানুষের বিরুদ্ধে এজেন্ডা করতেই তৎপর কেন্দ্র।
কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশও মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে লেখেন, আগে কাজ করে ফেলে পরে ভেবেছে সরকার। ধুমধাম করে ২০০০ টাকার নোট এনে এখন নিজেরাই তা তুলে নিচ্ছে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও টুইটারে তোপ দাগেন। লেখেন, ‘এটাই প্রত্যাশিত ছিল। ২০০০ টাকার নোট লেনদেনে এমনিতেই সমস্যা হত। মূর্খের মতো নোটবন্দীর উপর ২০০০ টাকার ব্যান্ডেড দেওয়া হয়’।
কংগ্রেসের মতোই মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসও। টুইটারে লেখে, ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছিল বিজেপি সরকার। বলা হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট বাজারে এনে রুখে দেওয়া যাবে কালো টাকার রমরমা। আর ৭ বছর পর আবার সেই নোটও তুলে নেওয়া হচ্ছে। এটা কি মোদীর মাস্টারস্ট্রোক? বিরোধীদের কটাক্ষ, এভাবেই নোটবাতিলের বৃত্ত সম্পন্ন করল কেন্দ্র।