শুক্রবার দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ২,০০০ টাকার নোট ইস্যু করা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এগুলি আইনি দরপত্র হিসাবে বৈধ থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে আরবিআই। ২০২৩ সালের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাজারে থাকা ২,০০০ টাকার নোটের মোট মূল্য ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। মোট প্রচলিত নোটের যা মাত্র ১০.৮% । ২০১৬ সালে নোটবন্দির পরেই বাজারে ২,০০০ টাকার নোট এসেছিল। ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট উঠে যাওয়ার পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ২,০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এই নোট রাখার পরিকল্পনা ছিল না কখনই। এর প্রমাণ হল, ২০১৮-১৯ সাল থেকেই ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছিল আরবিআই। বাজারে যে ২,০০০ টাকার নোট আছে, তার প্রায় ৮৯%-ই সেই ২০১৭ সালের মার্চের আগে ছেপে বাজারে এসেছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি ভারতীয় কাগজী নোটের আয়ু ৪-৫ বছর। নিয়মিত হাতবদল, আর্দ্রতা ইত্যাদি থেকে খারাপ হতে শুরু করে নোট। বর্তমান পরিস্থিতিতে ২,০০০ টাকার নোট খুব বেশি মানুষ নিয়মিত লেনদেনে ব্যবহারও করেন না। হিসাব বলছে, বাজারে প্রতি ১০০টি নোটের মধ্যে মাত্র ১০-১১টি ২,০০০ টাকার নোট। সাধারণ মানুষ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে দিতে পারেন। তাছাড়া ১০টি পর্যন্ত নোট একবারে এক্সচেঞ্জ করে ৫০০-১০০-র নোট নিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা। আপাতত, ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে ২,০০০ টাকার নোট।