প্রবল রোদ আর গরমকে উপক্ষা করে শনিবার উপচে পড়েছিল বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়াম। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ডিকে শিবকুমারের শপথগ্রহণের সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিলেন, অনেক ব্যাখ্যা হচ্ছে। তবে কর্নাটকে কংগ্রেস জিতেছে একটি কারণে।
কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘কংগ্রেস কর্নাটকে জেতার পর অনেকে অনেক ব্যাখ্যা করছেন। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, একটি কারণেই কংগ্রেস জিতেছে কর্ণাটকে।’ এরপর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ, আমাদের পার্টি গরিব, অনগ্রসর মানুষের অধিকারের কথা বলে লড়াই করেছে। আর বিজেপি লড়েছে তেলা মাথায় তেল দেওয়ার নীতি নিয়ে। কর্নাটকের আপামর মানুষ সেই দুর্নীতিগ্রস্ত ও বড় লোকের পোঁ ধরাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।’
এই কর্নাটকের উপর দিয়েই গত নভেম্বরে ভারতজোড়ো যাত্রায় হেঁটেছিলেন রাহুল। সেই সময়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘এখানে ঘৃণার রাজত্ব চলছে। আমরা চাই ভালবাসার বাগান তৈরি করতে।’ কর্নাটকের ফল ঘোষণার দুপুরেও রাহুল বলেছিলেন, ‘কর্নাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হল, ভালবাসার দোকান খুলে গেল।’
এদিন ভারতজোড়োর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি সেদিন মানুষের কাছে ভালবাসার কথা বলেছিলাম। মানুষ আমাদের ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।’
সন্দেহ নেই কর্ণাটকে কংগ্রেস যেভাবে বিজেপিকে হারিয়েছে তা চব্বিশের আগে গেরুয়া শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা। দক্ষিণের একটিমাত্র রাজ্যে বিজেপি ছিল। এখন পুরোটাই ফাঁকা। বিধানসভার নিরিখে হিসাব দেখলে দেখা যাচ্ছে ২৮টি লোকসভার মধ্যে ২০টিতে বিজেপি হেরেছে। উনিশে এই কর্নাটকের ২৫টি লোকসভা জিতেছিল গেরুয়া শিবির।