রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে কর্ণাটকে। দক্ষিণের এই রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। আগামী শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। সেখানে কোন কোন বিরোধী নেতা আমন্ত্রণ পাবেন আর কারা শেষ পর্যন্ত হাজির হবেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শপথের দিন ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমরা সমমনস্ক দলগুলির নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানাব।’’ তবে আমন্ত্রিতের সেই তালিকায় কারা রয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। তবে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, সহযোগী দলগুলির পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রয়েছেন আমন্ত্রিতের তালিকায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এসে গিয়েছে কংগ্রেসের আমন্ত্রণ মমতার কাছে। ৫ বছর আগে কর্ণাটকের সৌজন্যে ভারতীয় রাজনীতি এক বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিল। জেডিএস-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর শপথে দেখা গিয়েছিল বিজেপি বিরোধী নেতাদের ঐতিহাসিক সমাবেশ। এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সনিয়া ও রাহুল গান্ধী, মমতা, সীতারাম ইয়েচুরি, চন্দ্রবাবু নায়ডু, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, শরদ পওয়ারদের।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে কংগ্রেসের সহযোগী দল ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন শনিবারের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর দাবি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্বয়ং স্ট্যালিনকে ফোন করেছেন বৃহস্পতিবার। এ ছাড়া, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৩ জনেই বেঙ্গালুরুতে হাজির হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। শরদের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (বালাসাহেব), হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স ও বিভিন্ন বামদলগুলিও পেতে পারে আমন্ত্রণ।
