কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বৃহস্পতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়ে শনিবার বেঙ্গালুরুর শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী পদে অপেক্ষমান সি সিদ্দারামাইয়া।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দল এবং ব্যক্তিগতভাবেও সিদ্দারামাইয়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে খুব করে অনুরোধ করেন শনিবার দুপুরে তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী হাসি মুখেই তাঁকে জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তৃণমূলের পক্ষে অবশ্যই কেউ যাবেন।
বেঙ্গালুরুতে আগামীকাল কংগ্রেস সমমনোভাবাপন্ন সব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সেই তালিকায় আলাদা আলাদা কারণে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি প্রথমসারির তিন নেতা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে।
কেসিআর কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার পক্ষপাতী। তাছাড়া মাস কয়েক পরই তেলেঙ্গানায় বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ কেসিআরের দল বিআরএস। অন্যদিকে, আপ নেতা কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছেন, তিনি কোনও জোটে নেই। ‘একলা চলো’ রাস্তায় হাঁটবেন ২০২৪ পর্যন্ত। এমনকী ২০২৪-এর লড়াই মোদী-বনাম কেজরিওয়াল বলেও দাবি করতে শুরু করেছে তাঁর দল। অন্যদিকে, মায়াবতীর সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া এখন আর গোপন নেই। সিবিআই-ইডির হানাদারি থেকে বাঁচতে তিনি উত্তরপ্রদেশে গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর সদ্য অনুষ্ঠিত পুরভোটেও বিজেপিকে দান ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির।