‘আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। আইন অনুযায়ী, শিক্ষা দফতরকে বাইপাস করে, শিক্ষা দফতরকে এড়িয়ে কোনও বরখাস্তের ঘটনাই আইনসম্মত নয়। আমি বিশেষ কিছু বলতে চাই না। পরবর্তী ক্ষেত্রে যেরকম স্বেচ্ছাচারিতা দেখব, সেরকম ব্যবস্থা নেব।’ কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্তর নোটিস প্রত্যাহারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। এককথায় রাজ্যপালকেই কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অন্য মাত্রা পেল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিশেষজ্ঞদের মত তেমনটাই।
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে অবশেষে জট কাটল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আদালতের মধ্যস্থতায় রাজ্যপাল উপাচার্যকে বরখাস্তের নোটিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন। আর ওদিকে স্বেচ্ছাবসরের কথা জানিয়ে দিলেন উপাচার্যও। শুক্রবার রাজভবনে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন উপাচার্য।
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্নীতি’। উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, এমনকী পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ২৬ লক্ষ টাকা আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বহু প্রাচীন ও মূল্যবান গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও নাকি নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ!