এবার নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বর্তমান সময়ের একাধিক বিচারপতিদের কটাক্ষ করলেন দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। বিচাপরতিরা প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন বলে সরব হয়েছেন তিনি। বুধবার ব্যারাকপুর স্টেশনের সামনে শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বাম আমলে দীর্ঘ ৩৪ বছরে খুন, সন্ত্রাস, চাকরি দুর্নীতি, স্বজন-পোষণের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক। সেই সভাতে থেকে তাপস বলেন, “আমার বাড়িতে দুই পুরুষ বিচারক ছিল। বাড়িতে যদি কোনও অনুষ্ঠান থাকত, দুপুরবেলা এসে উপহার দিয়ে চলে যেতেন। তাঁরা ভিড়ের সময় জনসমক্ষে আসতেন না।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে বিচারকরা প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন। কাগজে ছবি ছাপা হচ্ছে, টিভিতে ছবি দেখানো হচ্ছে। অনেক বিচারপতি সাংবাদিক বৈঠক করছেন, টিভিতে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। এটা আগে কখনও ছিল না। আমি হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সদস্য। অনেক বিচারপতিকে দেখেছি। কিন্তু এমন কিছু দেখেনি। হাইকোর্টের বিচারপতিরা বক্তব্য রাখছেন এ জিনিস আমি দেখিনি। সমাজের মতো হয়তো কোর্টেও অবক্ষয় হয়েছে।”
পাশাপাশি তাপসবাবুর দাবি, আগে কথায় কথায় ইডি ছিল না। তিনি বলেন, “কথায় কথায় ইডি হচ্ছে, ভালো কথা কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু এর আগে তো এতদিন ছিল না। এটা কেন ? প্রতি কথায় ইডি হলে এদের সাকসেস রেট টা কী সেটাও দেখতে হবে। যা নিয়ে ইডির কোনও ভূমিকা নেই, তাও চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটা পটকা বা বাজি ফাটলে এনআইএর দাবি করা হচ্ছে। ইডি, সিবিআই ও এনআইএকে বিভিন্নভাবে অকারণে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন ভাব করছে এরা যেন শুক্র বা মঙ্গলগ্রহ থেকে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা হেনস্থা ছাড়া কিছু করেনি। আমরা তো চাই, দেই আইন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি হোক।” তাপস বলেন, “আমি মনে করি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বেশিরভাগ মানুষই সৎ ও শান্তিপ্রিয়। যেকোনও বিষয়ে বাংলাকে ভেঙে ফেলা ও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” রাজ্য ভাগ করে বিজেপি নেতাদের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন জেগেছে বলে পদ্মশিবিরকে একহাত নিয়েছেন তিনি।