আসন্ন পঞ্চায়েত আগে ফের বিপাকে পড়ল বঙ্গ গেরুয়াশিবির। মালদহের মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি রজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, রাস্তা ও কালভার্ট-সহ এলাকার উন্নয়নের কাজে নিয়ম ভেঙে রাতারাতি প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার (দরপত্র) আহ্বান করেছেন তিনি। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত পঞ্চায়েতের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নিয়মমাফিক বৈঠক করা হয়নি। বরং এ সম্পর্কে নোটিসের মাধ্যমে খবর পেয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, ১৯ আসনবিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সদস্যসংখ্যা ১০। তৃণমূলের সদস্য ৯ জন। অভিযোগ মানিকচক এলাকার রাস্তা, কালভার্ট-সহ বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর কাজের টেন্ডার আহ্বান করার প্রক্রিয়ায় নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মানিকচকের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করে টেন্ডার বাতিলে দাবি জানিয়েছেন ৮ সদস্য। নিয়ম অনুযায়ী, টেন্ডার ডাকার আগে বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা করতে হয়। তাতে যে পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ কাজের জন্য টেন্ডার ডাকার প্রয়োজন তার কর্মাধ্যক্ষ-সহ পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলনেতা ছাড়াও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতি প্রয়োজন। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও বৈঠকই ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, সোমবার এই টেন্ডারের নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে শনিবার চিঠি মারফত জেনেছেন পঞ্চায়েত সদস্যা ফুলবতী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যে এত টাকার টেন্ডার ডাকা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। চিঠির মাধ্যমে টেন্ডারের নিলাম শুরুর নোটিস পেয়েছি। আমাদের একেবারে অন্ধকারে রেখে মোটা টাকার বিনিময়ে নিজেদের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে এমনটা করছেন প্রধান। আমরা সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মানিকচকের বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে এই টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’’ এতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতা সানোয়ার আলি পারভেজ। ‘‘মোটা অঙ্কের টাকার কমিশনের বিনিময়ে নিজেদের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকলকে অন্ধকারে রেখে গোপনে টেন্ডার ডেকেছেন বিজেপির প্রধান। শনিবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে এক জন পঞ্চায়েত সঞ্চালক টেন্ডার বিট ওপেনের নোটিস পান। এর পরই বিষয়টি জানাজানি হয়’’, দাবি পারভেজের।