বিজেপিকে ধরাশায়ী করে কর্ণাটক দখলই শুধু নয়, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে কংগ্রেস। তবে এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে দল। ডিকে শিবকুমার না সিদ্দারামাইয়া? এই দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়াই মাথাব্যথার কারণ হয়েছে তাদের। এরই মধ্যে কংগ্রেসের কপালের ভাঁজ আরও বাড়ালো সর্বভারতীয় বীরাশৈব মহাসভা। কর্ণাটকের লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের এই সংগঠন দাবি জানিয়েছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে লিঙ্গায়ত সম্প্রদায় থেকেই। তাদের যুক্তি, কংগ্রেসের নব নির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে ৩৪ জনই লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের। পাশাপাশি আরও ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রেও কংগ্রেসের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছে লিঙ্গায়ত ভোট। কংগ্রেসের জয়ের পিছনে অন্যতম বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে, লিঙ্গায়ত ভোট বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসের পক্ষে আসা। তাই, মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে তাদের সম্প্রদায় থেকেই।
এই বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে একটি চিঠি দিয়েছে বীরাশৈব মহাসভা। চিঠিতে তারা বলেছে, এবারের ভোটে কংগ্রেস লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে ৪৬ জন প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্য থেকে ৩৪ জনই জয়ী হয়েছেন। পাশাপাশি আরও ৫০ টি আসনে কংগ্রেসের জয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে এই সম্প্রদায়। যারা বরাবর বিজেপিকে ভোট দিত, তারা কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকেছে। আর তার জন্যই ১৩৪টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বীরাশৈব মহাসভা বলেছে, ‘আমরা কংগ্রেস দলের কাছে, ওপরের বিষয়গুলি বিবেচনা করে বীরাশৈব লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের কোনও নেতাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করতে আর্জি জানাচ্ছি।’ শুধু মুখ্যমন্ত্রী পদই নয়, বীরাশৈব মহাসভার আরও দাবি, লিঙ্গায়ত সম্প্রদায় থেকে যতজন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন, সেই অনুপাতেই তাদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হবে।