জনসংযোগ যাত্রায় নেমে মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় ঘুরে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনছেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন। বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে ঘুরতে অভিষেক এখন পূর্ব বর্ধমানে।
সোমবার বিকেলে মঙ্গলকোটের এক সভায় আসছিলেন তিনি। সেই সময়েই হঠাৎ আকাশ কালো করে মেঘ জমে। শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। রাস্তায় আটকে পড়ে অভিষেকের কনভয়। আর সেই সময়েই পূর্ব বর্ধমানের এক নার্সিং হোম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দ্বিজপদ বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর একাত্তরের ওই বৃদ্ধ ডায়ালিসিসের রোগী। মুমূর্ষু ওই রোগী ডায়ালিসিস করিয়ে ছেলের সঙ্গে বাইকে চেপে মঙ্গলকোটের সিঙ্গট গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ভাতার সড়কে মাঝপথে আটকে পড়েন তাঁরা। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জানতে পেরে অভিষেক নিজে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত করেন।
নিজের কনভয়ে চাপিয়েই অসুস্থ, বয়সের ভারে নুব্জ দ্বিজপদবাবুকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন অভিষেক। দ্বিজপদবাবু রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থ। কিডনির সমস্যার ভুগছেন। বছর দেড়েক ধরে তাঁর ডায়ালিসিস চলছে বর্ধমানের ওই নার্সিংহোমে। সোমবারও সেখান থেকেই ডায়ালিসিস করিয়ে ফিরছিলেন তিনি। আর মাঝপথেই এই বিপত্তি। দুর্যোগের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন দ্বিজপদবাবু।
তবে অভিষেকের সাহায্যে শেষ পর্যন্ত কনভয়ে চেপে বাড়িতে ফেরেন বৃদ্ধ। বাবাকে সুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পেরে খুশি বৃদ্ধের ছেলে সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলছেন, ‘এই প্রবল ঝড়ের মধ্যে বিপদের সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে না দাঁড়ালে হয়ত বাবা বেঁচে ফিরত না। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আটকে পড়ে বাবা ভীষণ কাঁপছিলেন। পুরো ভিজে গিয়েছিলাম। যা পরিস্থিতি হয়েছিল, বাবাকে বাড়ি নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানার পর আমাকে ও বাবাকে তাঁর কনভয়ে করে গাড়িতে পাঠিয়ে দেন।’