মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনধারণের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। আর তার মধ্যেই আচমকা কয়েক দূরে এসে পড়ল একটি শিশু। এরপরেই জানা গেল, একরত্তি ছেলেকে কোলে নিয়ে ভাষণ শুনতে এসেছিলেন মুকেশ প্যাটেল নামে একজন শ্রমিক। হতাশার চোটে তিনিই কোলের ছেলেকে ছুড়ে ফেলেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহানের পায়ের কাছে। উদ্দেশ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর নজর আকর্ষণ করা।
মুকেশ জানিয়েছেন, তাঁর ১ বছরের ছেলের হৃদযন্ত্রে একটি ফুটো রয়েছে। কিন্তু তার চিকিৎসা এতটাই ব্যয়বহুল যে সন্তানকে চোখের সামনে শেষ হয়ে যেতে দেখা ছাড়া উপায় নেই তাঁর। যদি কোনও ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগ্রহ পাওয়া যায়, সেই আশাতেই সন্তানকে মঞ্চের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। শিশুটির অবশ্য ক্ষতি হয়নি। মাটিতে পড়ার আগেই সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন ধরে নেয় তাকে। নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে দিয়ে আসেন।
মুকেশ সাগরের কেসলি তেহশিলের সহজপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী নেহা এবং এক বছরের ছেলেকে নিয়ে সংসার। দিনমজুরের কাজ করে পেট চালান। ছেলের যখন ৩ মাস বয়স, তখনই তার হার্টে ফুটো আছে বলে জানা যায়। চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে। তার খরচ ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। দিনমজুরির কাজ করে ওই টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য তাঁর নেই বলেই জানিয়েছেন মুকেশ।
সন্তানের চিকিৎসার বিষয়ে সাহায্যের জন্য আগেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর বাসভবন অবধি পৌঁছানোর আগেই নিরাপত্তারক্ষী আটকে দেন মুকেশকে। তাই নিরুপায় হয়ে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মুকেশ। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী নেহা এবং ছেলে। তারপরেই একসময় ছেলেকে ছুড়ে দেন স্টেজে। এরপরই শিবরাজকে সব কথা খুলে বলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে মুকেশের ছেলের চিকিৎসার জন্য সবরকম সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।