কর্ণাটকে হারের মুখোমুখি হয়েছে বিজেপি। দক্ষিণাত্যে শূন্য হতেই থরহরি কম্প উঠেছে গেরুয়া শিবিরে। মোদী ম্যাজিকে আর ভোট আসছে না, ধর্মীয় মেরুকরণের হাতিয়ার এখন ভোঁতা। কর্ণাটকে মুখ ছিলেন মোদী, শাহ বারবার তা দাবি করে এসেছেন। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন বেলাইন হতেই দায় অন্য নেতার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।
শোনা যাচ্ছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি শুরু আরম্ভ করে দিয়েছেন মোদী-শাহ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনের সর্বেসর্বা পদে অন্য কাউকে বসাতে চাইছে সঙ্ঘ। সন্তোষের বিদায় কার্যত নিশ্চিত। কিন্তু সন্তোষের বিদায় ঘন্টা বাজতেই শঙ্কিত বঙ্গের গেরুয়া বাহিনী।
বাংলার বিজেপি নেতাদের একদলের বক্তব্য, একুশের আগে থেকেই বাংলায় বিজেপি সংগঠনে রাম রাজত্ব চালাতেন সন্তোষ এবং প্রদীপ যোশী। এদের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কোন্দল ছিল চরম পর্যায়ে। দিল্লির দাদাগিরি দিলীপ-সুব্রতরা মানতে পারেননি। ফলে পদ খোয়াতে হয়েছিল দিলীপদের। বদলে পদ পান সন্তোষের ঘনিষ্ঠ নেতারা। সন্তোষের কৃপায় বহু নেতা রাজ্যে কমিটিতে স্থান পায়।