প্রত্যাশিতভাবেই কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়াশিবির। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। এই রাজ্যে গদিচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো দক্ষিণ ভারত থেকে মুছে গিয়েছে বিজেপির কর্তৃত্ব। কেন্দ্রের শাসকদলের এমন বিপর্যয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিরোধীরা। ফের জোরালো হয়ে উঠছে বিকল্প জোট গঠনের ভাবনা। অন্যান্য বিরোধী নেতাদের পাশাপাশি এবার বিজেপিকে কটাক্ষে বিঁধলেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েকও। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের পাশাপাশি উড়িষ্যার একটি আসনে উপনির্বাচনেরও ফল প্রকাশ হয়েছে শনিবার। ওই আসনটিতে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন পট্টনায়েকের দল বিজেডির প্রার্থী। জয়ের পরই উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন,”সরকার সিঙ্গল ইঞ্জিনের নাকি ডবল ইঞ্জিনের, সেটা মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শুধু সুশাসন। সবসময় সুশাসনেরই জয় হবে।” পট্টনায়েকের এই মন্তব্য যে বিজেপির উদ্দেশে, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, দেশীয় রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কিছুদিন আগেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। উড়িষ্যার শাসকদলকে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে শামিল করার একটা চেষ্টা চলছে, সে নিয়ে কোনও সংশয় নেই। শনিবার কর্ণাটকে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর একযোগে বিজেপি-বিরোধী জোটের ডাক দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, শিব সেনা (উদ্ধবপন্থী) নেতা সঞ্জয় রাউত-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল আগামী ২৮শে মে দিল্লীতে নীতি আয়োগের বৈঠক। উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন বিরোধী দলের শীর্ষ-নেতৃত্ব। সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেসময় আগামী দিনের বিরোধী জোটের রূপরেখা ও রণকৌশল ঠিক হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।