কর্ণাটক বিধানসভা ভোট ২০২৩ জিতে নেওয়ার পথে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের জনমত চিরকালই পরিবর্তনের রাজনীতিতে আস্থা রেখেছে। ১৯৮৫ সাল থেকেই দেখা গিয়েছে, সরকারে থাকা শাসক বদল হয়েছে পর পর বিধানসভ ভোটে।তবে ২০০৪ ও ২০১৮ তে সেই ট্রেন্ড দেখা যায়নি কর্ণাটকে। এরপর ২০২৩ সালের ভোটে বিজেপিকে গদিচ্যূত করে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে কর্ণাটকে সরকার গড়তে চলেছে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর মধ্যে দেশে বিজেপির বিজয়রথ কর্ণাটকে কীভাবে থমকে দিল কংগ্রেস? কোন কোন কারণে বিজেপি পিছিয়ে পড়ল, দেখা যাক।
একটা সময় হিজাব কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে কর্ণাটক। এদিকে, বিজেপি তার হিন্দুত্বের তাস পর পর সাজিয়ে গিয়েছে কর্ণাটকের ভোট প্রচারেও। বোম্মাই সরকারের ৪ শতাংশ মুসলিম সংরক্ষণ সরানো নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যা বিজেপিকে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাখে।অন্যদিকে, কংগ্রেস ধর্মের রাজনীতির থেকে উল্টো পথে হেঁটেছে। বারবার জানান দিয়েছে, তাঁদের ফোকাস স্থানীয় ইস্যু। বিজেপির শাসনকালে কর্ণাটকে দুর্নীতি, বেকারত্ব, জলের সমস্যা সমেত স্থানীয় ইস্যুকে ফোকাস করে কংগ্রেস এগিয়েছে।
বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ভাষা নিয়ে সচেতন কন্নড়ভূমে ধীরে ধীরে বিজেপি উত্তর ভারতের পার্টি হিসাবে উঠে আসতে শুরু করছিল। যে ঘটনাও বিজেপির ব্যাকফুটে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ইস্যু। অন্যদিকে কংগ্রেস, কর্ণাটক ভোটের আগে রাজ্যের ভূমিপুত্র মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সভাপতির পদে বসিয়েছে। ফলে সেই দিক থেকে কংগ্রেস সামান্য হলেও মাইলেজ পেয়েছে।