কর্ণাটকের ফলাফলকে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর পরাজয় হিসাবে দেখাতে চাইল তৃণমূল। প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এটা মোদীর হার। কংগ্রেস ওখানে জিতেছে। এর ফলে চব্বিশের আগে মহাজোটের সম্ভাবনা বাড়ল।’
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সব বিজেপি বিরোধী দলকে এক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। নবান্নে যেদিন নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব মমতার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সেদিন, তারপর ইংরেজ বাজারের সভা থেকেও একই কথা বলেছিলেন দিদি।
তারপর অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, মহাজোট মানে কী? বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম এক হয়ে লড়বে? না। এ ব্যাপারেও মমতা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়বে।
অর্থাৎ, কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়ের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়বে। মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে রুখবে উদ্ধব সেনা, এনসিপি, কংগ্রেস। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল শক্তিশালী, তারাই এখানে লড়বে।
কর্নাটকে যখন দেখা যাচ্ছে বিজেপি হারছে এবং কংগ্রেস ম্যাজিক ফিগারের আশপাশে তখন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও টুইট করে লিখেছেন, ‘মানুষ নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান গ্রহণ করছেন এবং দিল্লি থেকে আসা মুখগুলিকে প্রত্যাখ্যান করছেন। বিজেপি বিরোধীরা যে যেখানে শক্তিশালী তাদের সামনে রেখে বিকল্প জোট হোক। মমতা বন্দযোপাধ্যায়ের এই ফর্মুলা ফের প্রমাণিত।’