২০২২ এ হিমাচল প্রদেশে মিলেছিল জয়ের দেখা৷ এখন সবকিছু ঠিক থাকলে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরেক রাজ্য নিজের ঝুলিতে পুরতে চলেছে কংগ্রেস৷ এক্সিট পোলের রেজাল্টে আভাস মিলেইছিল৷ বেলা গড়াতে না গড়াতেই স্পষ্ট হতে শুরু করল ছবিটা৷ ২২৪ বিধানসভা আসনের মেজরিটি মার্ক ১১৩ পেরিয়ে ১২৩ টি আসনের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে কংগ্রেস৷
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কর্ণাটকে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস প্রায় ৪২.৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ বিজেপি পেয়েছে ৩৬.১৭ শতাংশ ভোট, জেডিএস পেয়েছে ১২.৯৭ শতাংশ ভোট৷ এই পরিস্থিতিতে যে প্রশ্ন সবার প্রথমেই উঠে আসছে, তা হল, কে হতে চলেছে কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী৷ ইতিমধ্যেই এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের হোটেল বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস৷
কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বর্তমানে বরুণ বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি মন্ত্রী ভি সোমান্নার চেয়ে। কংগ্রেসের অন্দরে জোর জল্পনা, কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁকেই দায়িত্বভার দিতে পারে কংগ্রেস৷
তবে, শুধু সিদ্দারামাইয়াই নন, মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারও৷ এইচ ডি কুমারাস্বামী ও সিদ্দারামাইয়ার সরকারের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব আগেই সামলেছেন শিবকুমার৷ ২০২৩ এর নির্বাচনে কংগ্রেস জয় পেলেও, সেই সাফল্যের অন্যতম ভাগীদার হবেন শিবকুমার৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে যে এই কোটিপতি নেতাও থাকবেন সেটা বলা বাহুল্যই৷