কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার ভোটারদের মন জয় করতে বারবার রবীন্দ্রনাথের শরণাপন্ন হয়েছে পদ্মশিবির। অতিসম্প্রতিই রবি ঠাকুরকে সামনে রেখে জাতীয় শিক্ষানীতির নয়া ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় বিজেপির কবি প্রণামের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, কবিগুরু মাতৃভাষায় শিক্ষাকেই প্রাধান্য দিতেন। তাঁর সেই ভাবনাকে মাথায় রেখেই জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষায় পঠন পাঠনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পরেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়
এপ্রসঙ্গে শিক্ষামহলের একাংশের মত, রবীন্দ্রনাথ ব্যবহৃত হচ্ছেন। তাঁর ভাবনার বিস্তারকে আত্মস্থ করা হচ্ছে না। পরিকাঠামো ও প্রয়োগ নিয়েও অনেক সংশয় রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভীক মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, রবীন্দ্রনাথের মতো চিন্তা শক্তির মুক্তি যদি ঘটাতেই হয় তবে পাঠক্রম থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া কেন? অন্যদিকে রাজ্যসভার সাংসদ তথা শিক্ষাবিদ স্বপন দাশগুপ্ত মনে করেন, পরিকাঠামো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে মাতৃভাষায় বুনিয়াদী শিক্ষা হলে অন্য ভাষার প্রতি দখল আনা সহজ। মাতৃভাষায় শিক্ষার পরিকাঠামো আছে। তবে শিক্ষায় আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন বলেই মনে করেন স্বপনবাবু।