অগ্নিগর্ভ মণিপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক পুলিশ কম্যান্ডোর। আহত ৫। জানা গিয়েছে, মৃত কমান্ডোর নাম হীরেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ঠিক কী হয়েছিল? বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির বিষ্ণুপুর জেলায় এক পুলিশি অভিযান চলছিল। সেই সময়ই আচমকা দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে থাকে। আর সেই সময়ই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় হীরেন নামের ওই কম্যান্ডোর। পুলিশের সন্দেহ, এই হামলার পিছনে উগ্রপন্থীদের হাত রয়েছে। বুধবারই দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এক আসাম রাইফেলসের জওয়ান। এরপর বৃহস্পতিবার আরও বড় হামলার ঘটনা ঘটল পুলিশের উপরে।
বস্তুত, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মণিপুরে অশান্তি চলছে। এর মূলে রয়েছে মেটেই জনজাতির সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘাত। মণিপুরের মেটেই জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির তকমা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ কুকি-সহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন। তাদের বক্তব্য, মেটেইরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। তাছাড়া, মণিপুরের বিজেপি সরকার স্থানীয় বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের আশঙ্কা, সরকার এবার বনভূমি ধ্বংস করতে চলেছে। তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত কয়েক মাসে সে রাজ্যে অন্তত তিনটি গির্জা ভেঙেছে প্রশাসন। সরকারের দাবি, ওই গির্জাগুলি ছিল বেআইনি। সরকারের এই পদক্ষেপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আদিবাসী খ্রিস্টানরা। সেটাও বিক্ষোভের অন্যতম কারণ।