এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সিউড়ির সভার সময়ে বাংলাতেই ছিলেন না তিনি। আর এবার ২৫ বৈশাখেও শাহর কলকাতা সফরে জোড়াসাঁকো থেকে পেট্রাপোলে, এমনকী সায়েন্স সিটিতেও দেখা গেল না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এভাবে লাগাতার শাহী অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। ফলে রাজ্য বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, অমিত শাহের সঙ্গে কি তাঁর কোনও কারণে দূরত্ব বাড়ছে? নাকি শুভেন্দু-সুকান্তদের সঙ্গে অমিতের বোঝাপড়া বাড়ছে বলে নিজেকে দূরে দূরে রাখছেন তিনি?
প্রসঙ্গত, দিলীপ এখন রাজ্য সভাপতি নন। তাই শাহর সঙ্গে সরাসরি কাজের সম্পর্কে জড়িত থাকার পরিসর কমেছে। অথচ দলের অনেক কর্মী সমর্থকের কাছে দিলীপ এখনও গ্রহণযোগ্য মুখ। এহেন দিলীপ অমিতের বাংলা সফরের চালচিত্রে কার্যত দেখাই যাচ্ছে না। পদাধিকার বলে তিনি সর্বভারতীয় বিজেপির সহ সভাপতি। আর শাহ পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য। নিতান্ত সৌজন্যের খাতিরেও দেখা হওয়ারই কথা।
গত ৮ মে মঙ্গলবার রাতে অমিত শাহ কলকাতায় আসেন। পরদিন তাঁর সরকারি ও বেসরকারি গুচ্ছ কর্মসূচি ছিল। শাহের বিমান কলকাতায় নামে রাত ১১টা নাগাদ। নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের তরফে সেদিন দিলীপকে বলা হয়েছিল, অমিত শাহকে বিমান বন্দরে ফুলের বোকে দিয়ে স্বাগত জানাতে। কিন্তু দিলীপ জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ ইডেনে আইপিএলের ম্যাচ দেখতে যাবেন। দিলীপ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দলকে জানিয়েছিলাম তো, যেতে পারব না। ইডেনে খেলা দেখতে যাব।’
পরদিন সকালে শাহ প্রথমে গিয়েছিলেন, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে। সেখানে রাজ্য বিজেপির অন্য নেতাদের সঙ্গে দিলীপও ছিলেন। কিন্তু তারপর গোটা দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে কাটালেও দিলীপকে তাঁর ত্রিসামানায় দেখা যায়নি। শাহ ওইদিন বনগাঁয় পেট্রাপোল সীমান্তের নয়া টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন। সেখানেও দেখা যায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য দিলীপকে। সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। তিনি কি ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন? দিলীপের জবাব, ‘আমার তো দলের কর্মসূচি ছাড়া আর কোথাও মন থেকে যেতে ইচ্ছেই করে না।’