আর বেশি দেরি নেই। কয়েকদিন পরেই সারা বাংলাজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জনসংযোগ দৃঢ়তর করে তুলতে তৎপর শাসকদল তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে দলের জন্য স্বচ্ছ প্রার্থী খুঁজতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামীণ জনতার সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগের। গত ২৫শে এপ্রিল কোচবিহারের দিনহাটা থেকে শুরু হয়েছিল অভিষেকের এই জনসংযোগ যাত্রা। বৃহস্পতিবার সেই যাত্রার ১৭তম দিনে তৃণমূল নেতৃত্ব পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার কিলোমিটার পথ চলেছেন অভিষেক। কর্মসূচির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের থেকে যা অনেকটাই বেশি। কারণ, এই কর্মসূচিতে মোট ৩০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ১৭ দিনে সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি অতিক্রম করে ফেলায়, নতুন করে কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, এই পর্যায়ে কোচবিহার থেকে শুরু করে পরপর আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বীরভুমে সফর করেছেন অভিষেক। এই সময়কালে ৫০টি গণ জমায়েত, ৩৫টি বিশেষ অনুষ্ঠান ও ১২টি রোড শো-তে অংশ নিয়েছেন তিনি। এই কর্মসূচিতে মোট ৩০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করার কথা ছিল তাঁর। এই তিন ধরনের কর্মসূচির পাশাপাশি ৮ জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য স্বচ্ছ প্রার্থী খুঁজতে ভোটের আয়োজনও করেছে তৃণমূল। সেখানেও ভাল সাড়া মিলেছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এই কর্মসূচি শেষ হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরে। ৬০ দিনের এই কর্মসূচির এখনও ৪৩ দিন বাকি। ৮ জেলার সাড়া দেখে আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষের অংশগ্রহণ আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু সরাসরি জনসংযোগ নয়, নতুন এই প্রচার কৌশলে ডিজিটাল মাধ্যমেও রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক। ডিজিটাল মাধ্যমে এই কর্মসূচি ১ কোটি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন তিনি।