নেওয়া হল তড়িঘড়ি পদক্ষেপ। এবার সাগরদিঘিতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে এল পরিবর্তন। সরানো হল দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাগরদিঘির নতুন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সামশুল হুদা। সাগদিঘি উপনির্বাচনের হারের পরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মুর্শিদাবাদের দিকে বিশেষ নজর তৃণমূলের। চলতি মাসে মালদহে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সাগরদিঘির সামশুল হুদাও সেখানে যান। সূত্রের খবর, মালদহ সফরেই সাগরদিঘির ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে বদলের কথা বলেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামশুল হুদার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেকথা ঘোষণা করেনজঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে কংগ্রেসের যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা সামশুল হুদার। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি সাগরদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের কখনও প্রধান বা উপপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট প্রার্থী হিসেবে সুব্রত সাহার হয়ে সাগরদিঘিতে সামশুল হুদা প্রচার করেছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় একমাত্র সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। যদিও ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত সাহার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ভোট পেয়েছিলেন সামশুল হুদা। ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি ফিরে আসেন। রাজনীতির কারবারিদের অনেকেই মনে করছেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর আর দেবাশিসবাবুর উপর ভরসা রাখতে পারছে না তৃণমূল। সে কারণেই বদল আনা হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।