রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির হস্তক্ষেপে উদ্ধব ঠাকরের সরকার পড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী হন বিদ্রোহী শিবসৈনিক একনাথ শিন্ডে। সেই আস্থা ভোট কতটা সাংবিধানিক ছিল তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে। সেই রায়কে শিন্ডের গালে সুপ্রিম কোর্টের কষিয়ে থাপ্পড় বলে অভিহিত করল উদ্ধব সেনা।
মাতোশ্রীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘এই রায় হল একনাথ শিন্ডের গালে কষিয়ে একটা থাপ্পড়। জানি না এরপরেও লজ্জা হবে কিনা। অবশ্য নির্লজ্জ, বেইমানদের থেকে লজ্জাবোধ আশা করাটাই বৃথা।’
মারাঠা রাজনীতিতে একটা চালু কথা আছে— সঞ্জয় রাউতের চোখ দিয়েই সব দেখেন উদ্ধব ঠাকরে। বালাসাহেব-পুত্রের সেই বিশ্বস্ত সৈনিক সঞ্জয় বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে তাতে এখনই একনাথ শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আবার ভোটে যাওয়া উচিত।’
শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ স্পষ্ট করেই বলেছে, ‘রাজ্যপাল যেভাবে অনাস্থা ভোট ডেকে দিয়েছিলেন, তার কোনও যুক্তিই ছিল না। ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে শাসক দলের হাতেগোনা কিছু বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করা, অনাস্থা ভোট ডাকার জন্য যথেষ্ট কারণ নয়।’ তবে উদ্ধব যেহেতু ইস্তফা দিয়েছেন তাই তাঁকে আর মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফেরানো সম্ভব নয়। ফলে এখন যা আছে তাই থাকবে। বিদ্রোহীদের বিধায়ক পদ ও খারিজ করেনি শীর্ষ আদালত।