আল কাদির ট্রাস্টের জমি হস্তগত করার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অবশেষে সেই জমি কেলেঙ্কারি মামলাউ মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। আর তার পর থেকেই পাকিস্তানের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। আগুন জ্বলছে সেদেশের একাধিক প্রদেশে। কোথাও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হচ্ছে, কোথাও আবার সেনা শিবিরে হামলা চলছে। এমনকী এক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আনাজপাতি, ঘরের খাবার-দাবারও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ইমরান সমর্থকদ্র বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে হামলার হাত থেকে বাদ যায়নি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাসভবনও। সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়েছে। যদিও সেসময় তিনি বাড়ি ছিলেন না।
এরপরই বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘যারা এভাবে দেশজুড়ে আগুন জ্বালাচ্ছেন, তাঁরা দেশের শত্রু। এঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আর সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হিসেবে দেখা হবে। যাঁরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের মোকাবিলা করবে সরকার।’ তবে শাহবাজের এসব হুঁশিয়ারিকে একপ্রকার ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান সমর্থকরা। পাক পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোরে অন্তত ৫০০ জন ইমরান সমর্থক লাহোরের মডেল টাউনে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায়। বাড়ির বাইরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি ও কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। উল্লেখ্য, শুধু ইমরান খান নন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।