দক্ষিণ ভারতের একমাত্র রাজ্য কর্ণাটকও হাতছাড়া হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। অন্তত এক্সিট পোলগুলির তাই দাবি। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি রাখা হয়েছে কংগ্রেসকে। হাত শিবির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে বলেও কয়েকটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
এই যদি ফলাফল হয়, তাহলে জাতীয় রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কর্ণাটকের মন্ত্রিসভা হাতছাড়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা দেখা দিতেই নয়া কৌশলের পথে হাঁটার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পদ্মপক্ষ।
সূত্রের খবর, প্রথমত, কর্ণাটকে বিপর্যয় হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের পথে হাঁটতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়ত, নভেম্বরের মধ্যে আরও চারটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। কর্ণাটকে ধাক্কা খাওয়ার পর লোকসভার নির্বাচন চারমাস এগিয়ে এনে একসঙ্গে করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মোদী ফ্যাক্টর আরও ভালভাবে কাজ করবে। স্থানীয় নেতৃত্বের ‘অপদার্থতা’র খেসারত দিতে হবে না বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।
যদিও দ্বিতীয় এই পদক্ষেপটির ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। বিজেপি চাইছে লোকসভার আগে রাম মন্দিরের শিলান্যাস ও সেন্টাল ভিস্তা খুলে দিতে। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সংঘ পরিবারের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কোনওভাবেই জানুয়ারি মাসের আগে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে সংঘ পরিবারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবির কোন কৌশল নেয় সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একান্তই লোকসভা এগিয়ে আনা সম্ভব না হলে অন্তত মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হবে বলেই খবর।