কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন, কর্ণাটক ভোটে বিজেপির প্রতিনিধি হিসাবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোটে জিতলে কর্ণাটকের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবে কংগ্রেস। কর্ণাটকে ভোট মিটলেও এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কের রেশ কাটেনি এখনও। এজন্য বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা মানিকাম টেগোর সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে তাঁর আর্জি গোটা বিষয়টি পার্লামেন্টের প্রিভিলেজ কমিটিতে পাঠানো হোক। আগামী লোকসভা সেশনে এনিয়ে আলোচনার আর্জি তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে কংগ্রেস তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে সোনিয়া গান্ধীর বক্তব্য হিসাবে লিখেছিল, কর্ণাটকের সুখ্য়াতি, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার ক্ষেত্রে কেউ হুঁশিয়ারি দেবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। এরপরেই কর্ণাটকে ভোট প্রচারে গিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব নেই। ভোটে জিতলে দেশের থেকে কর্ণাটককে আলাদা করে দেবে কংগ্রেস। এবার এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পালটা সুর চড়াতে শুরু করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, বিজেপি অপব্যাখ্যা করছে।
কংগ্রেস নেতা মানিকাম টেগোর লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের মন্তব্য করে কার্যত স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে চিঠিতে মানিকাম টেগোর এ-ও লিখেছেন, গোটা বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটির গোচরে আনার জন্য অনুরোধ করছি। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, অত্যন্ত অন্যায়ভাবে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন।