বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে গেছে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। ২২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে আজ, এক দফাতেই ভোট গ্রহণ হবে। যার ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ মে শনিবার।
দক্ষিণ ভারতের একমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্য হল কর্ণাটক। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসনে জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস পেয়েছিল ৮০টি আসন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার দল জেডি(এস)-এর দখলে ছিল মাত্র ৩৭ টি আসন। সেই সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করেছিলেন দেবেগৌড়া পুত্র কুমারস্বামী। যদিও সেই সরকারের আয়ু ছিল মাত্র ১ বছর। ২০১৯ সালেই কংগ্রেস এবং জেডিএস এর প্রায় ২০ জন বিধায়ক নিজেদের দল ত্যাগ করে যোগ দেন পদ্ম-শিবিরে। বিধায়ক ভাঙিয়েই কর্ণাটকের ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।
তবে ২০১৮-র তুলনায় পরিস্থিতি এবার পদ্ম শিবিরের জন্য অনেক বেশি প্রতিকূল। ওই রাজ্যে দলের মুখ প্রবীণ বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে এক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে বিজেপির লাভের চাইতে ক্ষতি হয়েছে বেশি। দলেই প্রশ্নের মুখে পড়ে মোদী-শাহের সেই সিদ্ধান্ত। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে নিয়ে ভোটের আগে অসন্তোষ এতটাই চরমে ওঠে যে দলের একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী দল ছাড়েন। টিকিট না পেয়ে অভিমানে বসে যান আর এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে এবারের ভোটে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দিতায় অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, কর্ণাটকে এবার মোট ভোটার ৫ কোটি ৩০ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৬৬ লক্ষ এবং মহিলা ২ কোটি ৬২ লক্ষ।