বুধবার সকাল থেকে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরুর মুখে বুথমুখী ভোটারের মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে আসা একটি চিঠি শোরগোল ফেলে দিয়েছে সেখানে। মঙ্গলবার রাত থেকে মোবাইলে ছড়াতে শুরু করে সেটি। যদিও গোপনে এমন কাণ্ড ঘটায়নি কেউ।
রাজ্যের সরকারি ঠিকাদার সংগঠন বুথমুখী ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, কীভাবে বিজেপি সরকারের মন্ত্রীদের খাই মেটাতে রাজ্যের বহু ঠিকাদারের ব্যবসা লাটে উঠেছে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ। তাদের অভিযোগ, কম করে ৪০ শতাংশ টাকা মন্ত্রীদের ঘুষ না দিলে বিল পেমেন্ট করা হত না।
খোলা চিঠির নিচে সই রয়েছে সংগঠনের সভাপতি ডি কেম্পান্না এবং সাধারণ সম্পাদক জেএম রবীন্দ্রর। ঠিকাদার সমিতির অভিযোগ, বিজেপির কিছু মন্ত্রী কাজ করার পর বিল পাশ করাতে ৪০ শতাংশ টাকা ঘুষ নিতেন। বস্তুত, এবারের ভোটে বিরোধী বিশেষ করে কংগ্রেসের বিজেপি সরকারকে ‘৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার’ বলে বারে বারে নিশানা করেছে। কংগ্রেসের প্রচারে মূলত এই ইস্যুই সবচেয়ে প্রাধান্য পায় এবার।
মঙ্গলবার রাতে ঠিকাদার সমিতির প্রকাশ করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্র তখনই কাজ করে যখন মানুষ বিচার-বিবেচনা করে ভোট দেয়। দুর্নীতি আমাদের গোটা ব্যবস্থাকে গ্রাস করেছে। তা আমাদের প্রিয় রাজ্যে ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারি প্রকল্পে ৪০ শতাংশ কমিশন মেটাতে গিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ঠিকাদারের জীবন গিয়েছে। জনসাধারণকেও ত্রুটিপূর্ণ, বিপজ্জনক পরিকাঠামো ব্যবহার করতে হচ্ছে। কারণ মন্ত্রীদের ঘুষ দিয়ে গিয়ে কাজের গুণমান রক্ষা করা যাচ্ছে না।’