আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে জোড়াসাঁকোয় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার তা নিয়ে তাঁকে সমালোচনায় বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নেতাদের যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব স্পষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি। মঙ্গলবার ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবে তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।” প্রসঙ্গত, সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের সময় বাংলায় এসে যেভাবে দিল্লীর বিজেপি নেতারা বিশ্বকবির মাটি নিয়ে নানান কথা বলেছেন, তার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাঁদের অজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিনিকেতনকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, যা নিয়ে বিস্তর শোরগোল হয়েছে একসময়ে। এছাড়া কলকাতায় তাঁরই নির্বাচনী সফরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছিল বিতর্ক।
এদিন মমতা বলেন, “ভোটের সময় রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক কিছু না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। এমনকী বলে দেওয়া যায়, শান্তিনিকেতন কবিগুরুর জন্মস্থান। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলা যায়। এসব ঘটে। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবেই তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।” শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, এর আগে অমিত শাহর এই কর্মসূচীকে কটাক্ষ করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। “চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বাঙালিকে কাছে টানার চেষ্টা। তবে রবীন্দ্রনাথকে ভোটের কাজে ব্যবহার করলে হবে না। তাঁর আদর্শ বুঝতে হবে। সেই পথে চলতে হবে। অর্থাৎ সহিষ্ণুতা, সর্বধর্ম সমন্বয়। কেন্দ্র তা করে না”, এদিন সকালে তৃণমূল ভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের পর বলেন ফিরহাদ।