এখনও কমেনি উত্তাপ। হিংসার আগুনে জ্বলছে বিজেপিশাসিত মণিপুর। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর-পূর্ব রাজ্যের এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। অশান্তি, প্রাণহানির মধ্যে মণিপুর সফরে না গিয়ে অমিত শাহের বঙ্গসফর নিয়েও অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “উত্তর-পূর্ব ভারত জ্বলছে। আমরা উদ্বিগ্ন। রাজনীতি আগে না কি মানুষের জীবন?” মণিপুরে হিংসায় ৫৪ জেনর মৃত্যুর খবর মিলেছে। হিংসার পাশাপাশি সরকারের দেখামাত্র গুলির করার নির্দেশের জেরেও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। কিন্তু মণিপুরে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা গোপন করছে কেন্দ্র। এমনই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, বাংলায় কিছু না হলেও ১৫১টা কেন্দ্রীয় দল পাঠায়। মণিপুরে কেন কোনও কেন্দ্রীয় দল গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
উল্লেখ্য, এর পাশাপাশি বাংলা কীভাবে মণিপুরে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরানো হচ্ছে তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এখনও অশান্তি মণিপুরে ৬৮ পড়ুয়া আটকে রয়েছে। তারা বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মমতা। তাঁদের ফেরাতে মণিপুরে সেফ প্যাসেজের আবেদনও জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুধু বাংলা নয়, অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদেরও উদ্ধার করছে বাংলা। তাঁদের রাজ্যে আশ্রয়ও দেওয়া হচ্ছে। নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গসফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, “মণিপুর জ্বলছে। কিন্তু তা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলছেন না। নির্বাচন তো আসবে যাবে, কিন্তু মানুষের জীবন আগে। ভোট নিয়ে বিজেপি যতটা ব্যস্ত মণিপুর নিয়ে ততটা ব্যস্ততা নেই। একটা দিন সময় বের করে মণিপুর যেতেই পারতেন। বাংলায় তো পরেও আসা যেত।” সবমিলিয়ে এদিন উত্তর-পূর্বের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি মোদী সরকারকেও নিন্দায় বিঁধেছেন মমতা।
