ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ। আগামী ১০ই মে বিধানসভা নির্বাচন বিজেপিশাসিত কর্ণাটকে। সোমবার শেষ হচ্ছে প্রচার পর্ব। গদি বাঁচাতে মরিয়া বিজেপি। কারণ কর্ণাটকে পরাজিত হলেই, দক্ষিণ ভারত পদ্ম-শূন্য হয়ে যাবে। মোদী নিজেও আসরে নেমেছেন। প্রচারে বিরোধী কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ত্রুটি রাখেননি মোদী। লাগামহীন ভাষার প্রয়োগে মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।হশুক্রবার বেলারিতে নির্বাচনী ভাষণে মোদী দাবি করেন, কংগ্রেস নাকি পিছনের দরজা দিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। ভোটের জন্য সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। মোদীর এহেন মন্তব্যকে বিদ্বেষমূলক ও মিথ্যা বলে দাবি করে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় কংগ্রেস। মোদীর বক্তৃতার ভিডিও ক্লিপ জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো সুদূরের বিষয়, সামান্য এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যাটুকুও চায়নি কমিশন।
তবে উল্লেখ্য, কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে করাপশন রেট কার্ড সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন কংগ্রেস সংবাদপত্রে ছাপতেই, শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিরোধীদের বক্তব্য, বিজেপির অভিযোগ পেয়েই অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেসের কাছে অবিলম্বে ওই দাবির প্রেক্ষিতে প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে তথ্য-প্রমাণ দাখিলের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের এমন দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবালের প্রশ্ন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপরতা দেখিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু মোদীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক ভাষণের অভিযোগে কমিশন নীরব দর্শক! এখানেই প্রশ্ন, মোদীর কাছে জবাবদিহি চাওয়ার সাহস কি নির্বাচন কমিশনের নেই? এখানেই বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। স্বাভাবিকভাবেই নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।