এবার বায়ুদূষণ রোধে সারা দেশের মধ্যে ভূয়সী প্রশংসা পেল বাংলা। এ রাজ্যের উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাল দিল্লী। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ১লা মে দিল্লীতে আয়োজিত হয়েছিল উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক। বৈঠকে হাজির ছিল ইন্দো গ্যাঞ্জেটিক প্লেনের আওতাধীন রাজ্যগুলি। সেখানেই প্রশংসিত হয়েছে বাংলার একাধিক প্রকল্প। ট্রান্স বাউন্ডারি গ্রিনারি আদায় করে নিয়েছে উচ্চ প্রশংসা। জুন মাসে শুরু হবে ট্রান্স বাউন্ডারি গ্রিনারি। প্রাথমিকভাবে, ঝাড়গ্রাম থেকে বীরভূম, সীমান্ত এলাকায় ট্রান্স বাউন্ডারি গ্রিনারি অর্থাৎ গাছের বেড়া তৈরির কাজ শুরু হবে। ঝাড়খণ্ড, বিহার ইত্যাদি রাজ্য থেকে প্রচুর মাত্রায় ধূলিকণা এসে বাংলার বাতাসকে দূষিত করছে। যৌথভাবে এই গাছের বেড়া বানানোর কাজ শুরু করবে বনদফতর ও পরিবেশ দফতর। স্মোকলেস উনুন প্রকল্পটি সুখ্যাতি অর্জন করেছে। জানা গিয়েছে, আপাতত বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মোট পাঁচ জেলায় স্মোকলেস উনুনের পাইলট প্রকল্প শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক একটি গ্রাম দত্তক নিয়ে সমীক্ষা করবে। ঘুঁটে, কাঠ-পাতা জ্বালিয়ে রান্না করে এমন পরিবারের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেই সব পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৫ হাজার টাকার স্মোকলেস উনুন ও সোলার ইন্ডাকশন কুকার প্লেট দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, মোদী সরকারের আমলে সিলিন্ডারের দাম আম জনতার নাগালের বাইরে পৌঁছে গিয়েছে। সে কারণে অনেকেই ফের ঘুঁটে, কাঠ, পাতায় ফিরেছেন বলে দেখা যাচ্ছে। এগুলো জ্বালানোর ফলে দূষণ বাড়ছে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে রেখে সাধারণ মানুষের জ্বালানির খরচ কমাতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় গ্রাম বাংলার মানুষকে স্মোকলেস উনুন দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, উনুন দেওয়ার আগে ও পরে দূষণের মাত্রা মাপা হবে। পাইলট প্রজেক্ট সফল হলেই ১ কোটি পরিবারকে স্মোকলেস উনুন দেওয়া হবে। রাজ্যের এই দুই প্রকল্প বাংলার বায়ু দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
