কয়েকদিন বিরতির পর ফের বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে বাংলা। রাজ্যে আগামী মঙ্গলবার থেকে অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হবে। তাপমাত্রার পারদ ফের ছুঁতে পারে চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অঙ্ক। তবে তার মাঝেই বাংলার সাত জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য এলাকাতেও রয়েছে বর্ষণের পূর্বাভাস। রবিবার সকাল থেকে রোদের দেখা মিলেছে। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৬ থেকে ৮৮ শতাংশ। মঙ্গলবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়া। বুধবারের মধ্যে পারদ ছুঁতে পারে প্রায় ৩৯ ডিগ্রি। আগামী ২৪ ঘন্টায় পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবে হাওয়ার গতিপথ পরিবর্তন হবে। উত্তর-পশ্চিমে শুকনো বাতাস বেশি করে বইবে। তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যেতে পারে।
পাশাপাশি, পশ্চিমের জেলাগুলি অর্থাৎ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি হতে পারে। তাপপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা নেই। এদিকে, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তিন জেলায় ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। সোমবার সকালে তা নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে। বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র ল্যান্ডফল বাংলাদেশ ও মায়ানমার সংলগ্ন উপকূল। ভারতের মৌসম ভবন এখনও তার গতিপথ সুনিশ্চিত করেনি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়বৃষ্টি শুরু হবে। ক্রমশ বাড়বে তার তীব্রতা। বুধ ও বৃহস্পতিবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারও হতে পারে। সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার বিকেলের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসার সতর্কবার্তা জারি করেছে।