বাংলায় ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। উল্লেখ্য, ছোট ও মাঝারি হাসপাতালের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের হিসেব অনুযায়ী গত কয়েক বছরে রাজ্যের বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রায় এক লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, একদিকে যেমন নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার কাজ চলছে, তেমনি কয়েক হাজার চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে হয়েছে অনেক কর্মসংস্থান। সেই সঙ্গে বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন ছোট-বড়- মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা। স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে গত তিন বছরে ছোট, মাঝারি ও বড় মিলিয়ে মোট ৫১৫টি প্রাইভেট হাসপাতাল হয়েছে। শুধু তাই নয়, হার্টের চিকিৎসায় অপরিহার্য ক্যাথল্যাব এখন চলে এসেছে জেলায় জেলায়। গত তিন বছরে ৩০টি নতুন ক্যাথল্যাব এনেছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যের ৩৩টি হাসপাতালের কাছে ন্যাশনাল এক্রিডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালস অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোভাইডরস বা এনএবিএইচের মতো সম্মানজনক শংসাপত্র রয়েছে। বাংলার আরও ১৫১টি প্রাইভেট হাসপাতাল এনএবিএইচের আবেদন কৱেছে। পূর্ব ভারতের বড় হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সংগঠনের শীর্ষকর্তা রূপক বড়ুয়া বলেন, “বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিপুল বিনিয়োগের পিছনে স্বাস্থ্যসাথী সহ কয়েকটি কারণ রয়েছে। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আমাদের পেশ করা হিসেব অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে বাংলার বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে। বহু যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হবে, কোনও সন্দেহ নেই। সার্বিকভাবে খুব ভালো কাজ হচ্ছে।” রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রতি সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আস্থাশীল বলেই জানিয়েছেন তিনি।