সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় হামেশাই সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর অনুচ্ছেদ জারির দাবি জানিয়ে থাকে বিজেপি। সেই অনুচ্ছেদ বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুরে প্রয়োগ করতে বাধ্য হল কেন্দ্র। এর অর্থ বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ভার কেন্দ্রীয় সরকার নিজের হাতে তুলে নিল।
রাজ্য প্রশাসন ব্যর্থ হলে তবেই সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে কেন্দ্র। এটি ৩৫৬ ধারা অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আগের পর্ব। অবিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে এই পদক্ষেপ করতে হয়নি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে।
পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে দ্বিতীয় সম্ভাবনা অর্থাৎ ৩৫৬ প্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিরোধীদের বক্তব্য, ৩৫৫ জারির মধ্য দিয়েই মুখ পুড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কারণ আইন শৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি হলেই একমাত্র ৩৫৫ জারি করতে হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় ক্যাডারের এক আমলাকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ভার দিয়েছে। এর অর্থ রাজ্য প্রশাসনকে অফিসারের অধীনে কাজ করতে হবে। কেন জারি করতে হল ৩৫৫? দিল্লি সরাসরি নিজেদের হাতে কেন নিল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ভার? আসলে রাজ্যের ১৬টি জেলার ছয়টি অশান্ত। ২৩ টি থানা এলাকার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বলছে, ডবল ইঞ্জিন সরকারের অর্থ এবার বোঝা গেল। দুই ইঞ্জিন মিলেও মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ। কংগ্রেস এই সুযোগে প্রধানমন্ত্রীকে রাজধর্ম স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। গুজরাত দাঙ্গার সময় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। কংগ্রেস মণিপুর নিয়ে মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।