সেই ২০১১ রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছে তারা। তারপর থেকে ক্রমশই শক্তিক্ষয় হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে সংগঠনের পাশাপাশি দ্রুত কমছে দল চালানোর পুঁজি। তাই এবার গ্যারেজে থাকা গাড়িগুলি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল সিপিএমের জেলা কমিটি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পরিবর্তনের পর রোখা যায়নি দলের ভাঙন। দলে দলে নেতা-কর্মীরা দলবদল করে শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন। অনেকেই সদস্য পদ নবীকরণ না করে বসে গিয়েছেন ঘরে। তাই ১১ সালের পর থেকে একদিকে যেমন দলের সদস্য সংখ্যা হু হু করে কমতে শুরু করেছে, তেমনি দলের আয়ও কমে গিয়েছে অনেক। লেভি সংগ্রহ কার্যত তলানিতে।
এরই মধ্যে ২০১৭ সালে জেলা ভাগ হয়। আসানসোল ও দুর্গাপুর অর্থাৎ খনি ও শিল্পাঞ্চল নিয়ে আলাদা জেলা পশ্চিম বর্ধমানের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ফলে সিপিএম পার্টি লেভি আরও কমে যায়। কারণ অবিভক্ত বর্ধমান জেলার সিপিএমের লেভির সিংহভাগ আসতো খনি ও শিল্পাঞ্চল থেকে।
তাছাড়া গত একদশকে বহু স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অধ্যাপক অবসর গ্রহণ করায় আয় আরও কমেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে শেষমেশ দলের কার্যালয়ে থাকা ছ’টি চারচাকা গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছ’টি চারচাকা গাড়ির মধ্যে তিনটি বড় ও তিনটি ছোট গাড়ি আছে। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা মতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্টির এক হোল টাইমার বলেন, ‘গত কয়েকবছর হল জেলা অফিসে খাবারেও জোর লাগাম টানা হয়েছে। আগে প্রতিদিন ডাল, একটা সবজি, ভাজা, চাটনি রান্না হত। কিন্তু এখন সেখানেও রাশ টানতে বলা হয়েছে। আগে অসময়ের ইচর, পটল বা কপি রান্না হত। এখন সব বন্ধ। আগের মতো আর পাতও পড়ে না।’