এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে খেলার টিকিট পাকা করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। বুধবার কোঝিকোড়ে হায়দ্রাবাদ এফসিকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল তারা। মঙ্গলবার জুয়ান ফেরান্দোর দলের অন্যতম তারকা দিমিত্রি পেত্রোতোস জানিয়েছিলেন, শেষ ম্যাচ জিতেই তিনি দেশে ফিরতে চান। তাঁর সেই ইচ্ছে পূর্ণ হল। এদিন ম্যাচের ২০ মিনিটে তাঁর করা গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। তবে ৪৪ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান হায়দ্রাবাদের জোয়েল চিয়ানেসে। ম্যাচ অতিরক্ত সময়ে গড়ায়। কিন্তু ম্যাচের ফলে কোনও বদল আসেনি। এদিন টাইব্রেকারে মোহননবাগানের হয়ে গোল করেছেন দিমিত্রি, লিস্টন কোলাসো এবং কিয়ান নাসিরি। হায়দরাবাদের হয়ে একমাত্র গোল করেন জোয়াও ভিক্টর। গোল নষ্ট করেন টাভোরা, ওডেই। ম্যাচে সমতা ফেরানো চিয়ানেসেও। পরপর তিনটে শট নষ্ট করে হায়দরাবাদ। শেষ শট গোলে ঠেলতে ভুল করেননি কিয়ান। আইএসএল সেমিফাইনালের পরে আবার এটিকে মোহনবাগানের কাছে টাইব্রেকারে হারল হায়দ্রাবাদ। এই মরসুমে দুই দলের তিনটি সাক্ষাৎই শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়াল।
এদিন সুপার কাপের শেষ ম্যাচের দলে চারটি পরিবর্তন করে প্রথম এগারো সাজিয়েছিলেন এটিকে মোহনবাগান দলের কোচ ফেরান্দো। প্রীতম কোটাল, ব্রেন্ডান হ্যামিল, হুগো বুমোস ও মনবীর সিং প্রথম দলে ফিরে আসেন। ম্যাচের শুরুতে হায়দরাবাদ গতিশীল ফুটবল খেললেও ধীরে ধীরে মোহনবাগান ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে। ২০ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ডানদিক থেকে দিমিত্রিকে গোলের বল সাজিয়ে দেন হুগো বুমোস। গোল করতে ভুল করেননি দিমিত্রি। অতিরিক্ত সময়ে দুই দলের ফুটবলারদেরই ক্লান্তির প্রতিফলন দেখা যায় পারফরম্যান্সে। পরিস্থিতি নিজেদের হাতে রাখতে মনবীরকে তুলে নেন ফেরান্দো এবং নামান কিয়ান নাসিরিকে। কোনও দলের মধ্যেই সে রকম মরিয়া চেষ্টা দেখা যায়নি দুই অর্ধে। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার ছ’মিনিট আগে বল নিয়ে বিপক্ষের বক্সে ঢুকে কোলাসো গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন বটে, কিন্তু তা বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টাইব্রেকারেই গড়ায়। ম্যাচ জিতে খুশি ফেরান্দো। ‘‘কঠিন ম্যাচ ছিল। দলে চোট-আঘাত ছিল। সে সব নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছে আমাদের। এ বার নতুন উদ্যমে এগোতে হবে’’, বক্তব্য মোহন-কোচের।
