বুধবারই সরাইঘাট এক্সপ্রেসে চেপে মালদহের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে মালদা টাউন স্টেশনে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সেখানে প্রশাসনিক সভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মালদহ অডিটোরিয়াম থেকে তাঁর সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি ফের একবার এনআরসি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রশাসনিক সভায় সরকারের শীর্ষ আধিকারিক থেকে শুরু করে জেলা সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে আবার কিন্তু চিঠি পাঠিয়েছে। সরাসরি এনআরসির নাম বলা হয়নি। নির্বাচন সামনে এলেই এইসব মনে পড়ে। কিন্তু আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আমরা এনআরসি করব না। এনআরসি করতেও দেব না।’
মমতা আরও বলেন, ‘পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কার লেখা আছে যাঁদের আধার কার্ড, প্যান কার্ড, মাথা-মুণ্ডু কার্ড না থাকবে, তাদেরকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। মানে যাতে তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে তাড়িয়ে দেওয়া যায়। ঠিক যেমনটা অসমে হয়েছিল। ওটা নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি দেখে নেব। তবে ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম অবশ্যই তুলবেন। ১০ বছর পর আধার কার্ড নতুন করে করতে বলছে। সেটা যখন শুরু হবে তবে করে নেবেন।’
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এনআরসি প্রসঙ্গ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার। যাতে বলতে না পারে যে ভোট দেওয়ার কারণে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা সব কিছুই করতে পারে। কোনও বিশ্বাস নেই এঁদের উপর। তাই ভোটার লিস্টে নাম তোলার অনুরোধ করলাম।’