ইডি অধিকর্তা সঞ্জয় মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বাক্য-বাণের মুখে পড়তে হলো কেন্দ্রীয় সরকারকে। বুধবার বিচারপতি বি আর গাভাই, বিক্রম নাথ ও সঞ্জয় কারোল কেন্দ্রের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘ইনি এতটাই অপরিহার্য? আর কোনও যোগ্য লোক নেই কী যিনি ইডি অধিকর্তার পদে বসতে পারেন? ইনি (সঞ্জয় মিশ্র) চলে গেলে কী হবে? কাকে বসাবেন ওই পদে?’ বিচারপতিদের চোখা-চোখা প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে আমতা-আমতা করতে থাকেন কেন্দ্রীয় আইনজীবী।
‘বিজেপি ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে বরাবরই পরিচিত ইডি অধিকর্তা সঞ্জয় মিশ্র। দিল্লির রাজনৈতিক প্রভুদের এতটাই বিশ্বাসভাজন ভৃত্য যে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে দুই বছরের জন্য ইডির অধিকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। অবসরের বয়স পেরিয়ে যাওয়া সত্বেও তিন-তিনবার তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে মোদি সরকার। চলতি বছরের নভেম্বরে অবসর নেওয়ার কথা তাঁর। বিরোধীধের অভিযোগ, অধিকর্তা হিসেবে ইডিকে বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত করেছেন সঞ্জয় মিশ্র। বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা পূর্ণ করতে বিরোধী নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো থেকে চরিত্রহননের রাস্তায় হেঁটেছেন। এমন বিশ্বাসী ভৃত্যকে হাতছাড়া করতে চাইছে না মোদি সরকার।
ইডি অধিকর্তা হিসেবে সঞ্জয় মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে। বুধবার ওই মামলায় কার্যত কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহতাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দেন বিচারপতিরা। সঞ্জয় মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সাফাইয়ের পাহাড় দাঁড় করান সলিসিটর জেনারেল। পাল্টা বিচারপতিরা বলেন, ‘একজন এতটা কী করে অপরিহার্য হন? সংস্থায় আর কী এমন যোগ্য কেউ নেই, যিনি দায়িত্ব সামলাতে পারেন? ইনি ২০২৩ সালে আবসর নেওয়ার পরে কী হবে?’ আগামী ৮ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।